
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ঢাকার দোহার উপজেলার পশ্চিম সুতারপাড়া থেকে গাজিরটেক পর্যন্ত, প্রায় দুই কিলোমিটার এলজিইডি প্রকল্পের কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়মের কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা য়ায়, সামান্য বিটুমিন দিয়ে দিনের পর দিন চলছে নির্মাণ কাজ যা কয়েকমাসেই ধ্বসে পরবে বলে ধারণা করছেন ঐ এলাকার বাসিন্দা ও পথচারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলজিইডি প্রকল্পের ৯২ লাখ টাকার উপরে ব্যয়ে কাজটিতে মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম নীতি। স্থানীয়দের অভিযোগ পেপার মেশিনে কাজ করার কথা থাকলেও হাতে ঢালাই হওয়ায় রাস্তাটির পুরুত্ব ও সমতা বজায় থাকছে না। এতে টেকসই নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, প্রতিবাদ করেও কোন সমাধান হচ্ছে না। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এমন অনিয়ম। এদিকে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে পালিয়ে যান উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের দুই কর্মকর্তা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মুন্নাফ বলেন, জনগণের টাকায় নির্মিত এই রাস্তায় এমন অনিয়ম হলে আমরা কোথায় যাবো। তাদের বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। এই দেশে কি আইন নেই।
আরও এক বাসিন্দা শাহরিয়ার হোসেন বাপ্পি বলেন, সরকার বাজেট কম দেয় এই কারণে কাজও নিন্মমানের হয়। তিনি বলেন, ঠিকাদার চুরি করে, প্রকৌশলী অফিসে টাকা পায় তাই এই অবস্থা। আমরা কোথায় যাবো।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা চাই সঠিক কাজ। অনিয়ম হলে জনগণ মেনে নেবে না। শফিক শিকদার নামে এক যানবাহন চালক বলেন, ভাই এখানে একটু ভারি গাড়ি গেলে এই রাস্তা টিকবে না। বৃষ্টি নামলে এখানে রাস্তা ধ্বসে যাবে। আপনারা কিছু করেন।
এবিষয়ে নির্মাণ কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কুসুমহাটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম বলেন, অফিসিয়াল ভাবে সব সময় কাজ করা যায়না। এসময় উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।
এদিকে দোহার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সেলিম ও উপজেলা প্রকৌশলী রাজু আলম বলেন, আমাদের একদিন সময় দিন। খোঁজ নিয়ে কোনো অনিয়ম পেলে সংশোধন করা হবে।
এবিষয়ে জানতে ঢাকা জেলা প্রকৌশলী বাচ্চু মিয়ার মোবাইলে একাধিক ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।