নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার দোহারে দাঁতের চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন রাবেয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূ। এবিষয়ে ২৫ আগষ্ট দুপুরে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ আগস্ট (রবিবার) দুপুরে উপজেলার জয়পাড়ায় ‘আলিফ ডেন্টাল কেয়ার’ এ দাঁতের চিকিৎসা নিতে যান তিনি। চিকিৎসক প্রথমে জানায় দাঁতে ক্যাপ পড়াতে হবে, এজন্য ৬ হাজার টাকা নেয়। পরে তাকে দাঁতের ক্যাপ না পড়িয়ে রুট ক্যানেল করে দেয়। কিন্তু ক্যাপ বসানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেটি খুলে পড়ে যায়। মূলত সেখানে ক্যাপ পড়ানো ছিলো না বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরদিন সকালে আবার সেখানে গেলে চিকিৎসকরা তাকে সঠিকভাবে চিকিৎসা না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুধুমাত্র ডিপ্লোমা কোর্স করেই কয়েকজন ডাক্তারের সেবা দিচ্ছেন আলিফ ডেন্টাল কেয়ারে। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও দুজন রোগী অভিযোগ করেন ভুল চিকিৎসার কথা। এসময় মধ্যবয়সী এক রোগী বলেন, বাবা আমরা সুস্থ হইতে এসে যদি আরও আসুস্থ হই , তাহলে এমন চিকিৎসা করে লাভ কি? এরা তো ডাকাতের মত টাকা নেয়।
অভিযযোগকারী রাবেয়া আক্তার বলেন, আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, আমার মতো আর কোনো রোগী যেন প্রতারিত না হন, এজন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করছি।
এবিষয়ে আলিফ ডেন্টাল কেয়ারের পরিচালক এমএ কুদ্দুস বলেন, দাতে ক্যাপ পড়িয়ে দিলে খুলে যেতে পারে এটা স্বাভাবিক। সব ডেন্টালেই এমন হতে পারে। এসময় ডেন্টাল পরিচালনার জন্য বৈধ কাগজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে বলেন এটি ছাড়া আর কোনো কাগজ নেই।
এব্যাপারে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রবিউল ইসলাম বলেন, ট্রেড লাইসেন্স এর মাধ্যমে আলিফ ডেন্টালে কি কি সেবা দেয়া হচ্ছে এটি খতিয়ে দেখা হবে।
এবিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাস্সুম বলেন, ডেন্টাল বিভাগের বিষয়টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেখবেন। যদি তারা আমাদের সাহায্য চান তবে অভিযান করা হবে। এসময় লিখিত অভিযোগের বিষয়ে বলেন, অভিযোগটি এখানো আমার হাতে আসেনি। ভূক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হাবে।