দোহার প্রতিনিধিঃ দোহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জয়পাড়া খালের কচুরিপানা পরিষ্কারের দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির। এ কর্মসূচি সফল করতে দোহার উপজেলাবাসীকেও অংশগ্রহণ করা আহ্বান জানান। শনিবার খালটি পরিদর্শন শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা মো. দলিলুর রহমান এ ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দোহার পৌরসভার সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন, কুসুমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা আব্দুল ওয়াহাব দোহারী, দোহার উপজেলা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ওমর ফারুকসহ জামায়াত- শিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জয়পাড়া খালের দূরাবস্থা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ খালটি পরিদর্শন করেন। এ সময় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এলাকাবাসীও যোগদান করেন। এলাকাবাসী খালটি পরিষ্কার করার জন্য জোর দাবি জানান।
পরিদর্শন শেষে খুব শিগগিরই প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই খালের কচুরিপানা অপসারণ করার ঘোষণা দেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, খুব শিগগিরই খালের মৃতপ্রায় অবস্থা থেকে কচুরিপানা অপসারন করে জয়পাড়া খালকে পুনরুজ্জীবিত ও নৌযান চলাচলে স্বাভাবিক রাখতে এ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন তারা ।
সরেজমিনে দেখা যায়, জয়পাড়া খালটির প্রায় পুরোটাই কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। এই খালকে ঘিরেই উদ্ভব হয়েছে দেবীনগর বাজার বা হাট। এক সময় প্রতি বৃহস্পতিবার এ হাটে আসার প্রধান মাধ্যম ছিল খালটি। কচুরিপানায় পরিপূর্ণ থাকায় এখন এই খাল আর ব্যবহৃতই হয়না।
এ ব্যাপারে থানা নায়েবে আমীর মাওলানা দলিলুর রহমান বলেন, কচুরিপানা ও কসাই পট্টির বর্জ্যের কারনে নৌযান চলাচল যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে,পাশাপাশি মশার উপদ্রপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষজন। তাই আমরা এই খালের কচুরিপানা অপসারনের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। পৌর আমীর মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উন্মুক্ত এ খালটি আজ কচুরিপানায় আবদ্ধ হয়ে গেছে। মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতিও হচ্ছে। জনগণের দূর্দশা লাঘবে আমরা এই কচুরিপানা অপসারন করব। কুসুমহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুল ওয়াহাব দোহারী বলেন,জনগণের সকল সমস্যা নিরসনে দোহার জামায়াত জনগণের পাশে আছে। এই সামাজিক কাজের মাধ্যমে আমরা জনগণের আরো কাছে পৌছতে চাই। আমরা আমাদের ভালো কাজের মাধ্যমে জনগণের মন জয় করতে চাই। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ওমর ফারুক বলেন, খালের পানি প্রবাহ সঠিক রাখতে কচুরিপানা অপসারনের বিকল্প নেই। ইসলামি ছাত্রশিবির এই খালের কচুরিপানা অপসারন করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
এলাকাবাসীর পক্ষে আবু তালেব বলেন, আমরা জয়পাড়াবাসী দীর্ঘদিন ধরে খালের কচুরিপানা দুর্ভোগে আছে। এইখালে লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলে খালটির পার ভরে ফেলছে। সন্ধ্যা হলেই দোকানপাটে বসে থাকা যায় না মশার কামড়ে। জামায়াত আজ খালটির কচুরিপানা অপসারণ করার ঘোষণা দিয়েছেন। জামায়াতের এমন কর্মকান্ড আমরা স্বাগত জানাই। কাজটি করলে আমরাও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।