নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার দোহার উপজেলায় দূর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত ও দোকানে রাখা নগদ টাকা এবং মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হামলার শিকার হলেন- আয়ান ফেব্রিকস এন্ড ভ্যারাইটিজ ষ্টোরের মালিক মো.আলমগীর হোসাইন।সে উপজেলার সুতারপাড়া বড়বাড়ির এলাকার মৃত.আরশেদ আলীর পুত্র।
দোকান মালিক আলমগীর হোসাইন জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার দেওয়ান মার্কেট এলাকায় তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকালে একই এলাকার বাহার মিয়ার ছেলে শাকিল(২৬), আতিকুরের ছেলে জিহাদ হাসান(২৫),দেলোয়ার হোসেন দেলুর ছেলে নাহিদ(২৬),আশরাফ মোল্লার ছেলে আবদুল্লার(১৮) নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার দোকানের ক্যাশ বাক্সে রাখা নগদ ১০ লক্ষ ২৫ হাজার সাতশত টাকা লুটে নেয়। এ সময়ে তিনি বাধাঁ দিলে হামলাকারীরা তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে মাথায়,দুই হাটু ও হাতে গুরুত্বর জখম করে পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত আলমগীরের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে আহত ব্যবসায়ীর বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুস জানান, হামলাকারীদের তারা চিনতে পেরেছেন। এ বিষয়ে দোহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রেজাউল করিমের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করেন।বর্তমানে তার ছোট ভাই আলমগীরের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রেজাউল করিম জানান, হামলার ঘটনা তিনি জানতে পেরেছেন।পূর্ব শত্রæতার জের ধরে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে।হামলাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাকিবের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে শাকিব জানান, আমি এই হামলার সাথে জড়িত নই।বরং গতকাল সোমবার সকালে ইসলামাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনিই আমাকে হাতুরী দিয়ে শরীরে আঘাত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রকে বকাঝকা করেন একই বিদ্যালয়ের ছাত্র সুতারপাড়া গ্রামের আবদুল্লাহ।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল্লাহকে মারধোর করেন একই এলাকার লোকজনরা।পরে হামলার ঘটনায় উভয়পক্ষ জড়িয়ে পড়লে স্কুল ছাত্র আবদুল্লার বাড়িতে গিয়ে গড়ায় এই মারামারি।পরে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। স্থানীয়রা আরও বলেন, এই স্কুলে কোমলমতি মেয়ে শিক্ষার্থীরা বখাটেদের প্রায়ই ইভটিজিংয়ের শিকার হউন। উক্ত ঘটনার কোন সুরাহা পান নি কোন অভিভাবক।আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে এর বিচার চাই।বারবার উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পরও কোন ফলাফল পাই নি।
এ বিষয়ে ইসলামাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরে আলম সিদ্দিকী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকের কাছ থেকেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন জানান, বিষয়টিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।